মোঃ ফাহিমুল ইসলাম : আজ ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর আমাদের মাতৃভুমি বাংলাদেশের বিজয় অর্জিত হয়েছিল।
মহান বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে পালনের জন্য জাতীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মোঃ শাহাবুদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুছ জাতির উদ্দেশ্যে পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
প্রত্যুষে ৩১বার তোপধ্বনীর মাধ্যমে জাতীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়।
মহেশপুর উপজেলা পরিষদ কর্তৃক গৃহীত কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে, সুর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারী-আধা সরকারী, আধা- সরকারী স্বায়ত্বশায়িত প্রতিষ্ঠান ও বে-সরকারী ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন।
সকাল ৯টায় মহেশপুরের খালিশপুরে অবস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমান সরকারী ডিগ্রী কলেজের সামনে অবস্থিত হামিদুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পমাল্য অর্পন, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত।
সকাল ১০ টায় মহেশপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল সাড়ে ১০টায় মহেশপুর সরকারী পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বিজয় মেলার উদ্বোধন।
সকাল ১১টায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্রেক্স ভবনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সম্মানে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান, যোহরের নামাজের পর ও সুবিধামতো সময়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদবিরোধী কার্যক্রমে জনমত সৃষ্টির জন্য আলোচনা ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত-যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য ও জাতির সুখ শান্তি. সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে সকল মসজিদ ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা।
মহেশপুরে বিজয় দিবসের প্রত্যেকটি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করছেন মহেশপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াসমিন মনিরা।
মহেশপুরে যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপনের লক্ষ্যে গত ৫ ডিসেম্বর মহেশপুরে এক প্রস্তুতিমূলক সভায় ৩৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।
এবারের বিজয় দিবস পালনের সময় কোন রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় না থাকায় মূল কমিটি থেকে অনেককে বাদ দেওয়া হয়েছে।
একটি স্বার্থেন্নাষী মহলের কারণে স্থানীয় সাংবাদিক সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অথচ ঐ স্বার্থেন্নাষী মহলটি গত সরকারের শাসনামলের বিভিন্ন সময়ে ব্যাপকভাবে আর্থিক সুবিধাসহ বিভিন্ন সুবিধা গ্রহণ করেছে। তাদের ভাবধারা দেখে মনে হচ্ছে তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ট হয়েছে।
গত ৩০ বছর ধরে বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে মহেশপুর উপজেলা প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনসহ সামাজিক সংগঠনকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়। এবারই হলো তার ব্যাতিক্রম।
একটি মাত্র সাংবাদিক সংগঠকে কমিটিতে রেখে আর অন্যান্য সংগঠনগুলোকে বাদ দেওয়ায় স্থানীয় সাংবাদিকদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ঐ স্বার্থেন্নাষী মহলটি নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসাারের সাথে যেভাবে স্থানীয় সাংবাদিকদের মুখোমুখি দাড় করিয়ে দিয়েছিল এবারও তাই করা হচ্ছে। যা কোনভাইে কাম্য নয়।
স্থানীয় প্রত্যেকটি সাংবাদিক সংগঠনে যেমন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমর্থক রয়েছে, তেমনি নিরোপেক্ষ সদস্যও রয়েছে।
উল্লেখিত বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা সংবাদপত্র- সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও মহেশপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ আব্দুর রাজ্জাক তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
Leave a Reply